শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ,জ্বালানী বরাদ্দকৃত অর্থ যাচ্ছে কোথায়? রান্না হচ্ছে আবাসিক লাইন গ্যাসে!

মো.মজিবুর রহমান রনি

দেশের প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে ঠিকাদারের মাধ্যমে রোগীদের খাবার সাপ্লাই দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। ঠিক তেমনি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখই নিয়ম। খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে রান্নার জন্য জ্বালানির অর্থ বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রান্নার কাজে কাঠের জ্বালানির বরাদ্দকৃত অর্থ যাচ্ছে কোথায়? এমন প্রশ্ন হাসপাতালে আগত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের।

গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১১টায় সরকারী হাসপাতালের কিচিং রুমে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের রান্না হচ্ছেনা। কিচিং রুম দীর্ঘদিন রান্না না হওয়া তালাবদ্ধবস্থা পড়ে রয়েছে।

কিছুক্ষন খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো রান্না হয় বাবুর্চি আ. মান্নানের নামে বরাদ্দ থাকায় স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা। সেখানে গিয়ে দেখা গেলো আবাসিক লাইন গ্যাসেই রোগীদের জন্য দুপুরের এবং রাতের খাবার তিনি রান্না করছেন।

বাবুর্চি আ. মান্নান যোগদানের পর থেকেই তার বাসার লাইন গ্যাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য খাবার রান্না করছেন। তিনি এমনটি আমাদের নিশ্চিত করে এর বেশি কোন কথা বলতে না চাইলেও কথা প্রসঙ্গে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জামাল উদ্দিনের সাথে কথা বলার জন্য দেখিয়ে দেন।

পরে মেডিকেল অফিসার জামাল উদ্দিন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও ওই সময়ে তার পুরো কথা রেকর্ড করা হয়। তাকে কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হলে তিনি অন্য দিকে কথা বলে এড়িয়ে যান। তিনিও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মাওলা নাঈমকে দেখিয়ে দেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের ঈদুল ফিতরের পূর্ব হাসপাতালের মিটিংয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাবুর্চি আ. মান্নানকে কাঠ বা লাকড়ি কিনে রান্না করার জন্য নির্দেশনা দেন।

কিন্ত কোন অদৃশ্য শক্তির বলে বাবুর্চি আ. মান্নান লাইন গ্যাসে রান্না করছেন। বাবুর্চির দেওয়া বক্তব্যই কি জ্বালানীর অর্থ মেডিকেল অফিসার জামাল উদ্দিন এবং ঠিকাদারের পকেটে যাচ্ছে? না জ্বালানির বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কিন্ত বাবুর্চি-মেডিকেল অফিসার জামাল উদ্দিন এবং টিএসও এর বক্তব্য এমনটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রশ্ন উঠেছে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে কি ভাবে বেআইনি কাজে সহযোগিতা বা লিপ্ত থেকে আবাসিক লাইন গ্যাস বানিজ্যেক হিসেবে ব্যবহার করছেন? জনমনে এমনটিই আলোচনা হচ্ছে।

ঠিকাদার সোহেল খান এর মেবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পরও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মাওলা নঈম বলেন – সরকারি বিভিন্ন বিশেষ দিনে রোগিদের স্পেশাল খাবার দিতে হয় যার জন্য আলাদ কোন বরাদ্দ আসেনা এবং আমার এখানে ৫০ জনের খাবার বরাদ্দ আসে কিন্তু আমি ৮০/৮৫ জনের খাবার দেওয়া হয়। তাই আমি এক দিকে ছাড় দিয়ে অন্য দিকে পুষিয়ে নিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com